ছাত্রদের বিক্ষোভ শুরু হয় সরকারী চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে, কিন্তু সরকার সহিংসতা দিয়ে ছাত্রদের দমন করার চেষ্টা করলে সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলনে যোগ দেয়। ছাত্ররা সফল ও হয়।চাকরির নিয়োগে কোটা ও বৈষম্য না হয় ছাত্ররা জীবন দিয়ে দূর করল। কিন্তু চাকরিতে একই পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পাওয়ার পর একই লেবেলে যে আকাশ পাতাল বৈষম্য বিরাজমান, তা দূর করবে কে? বিসিএস পরীক্ষায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিটি ক্যাডারেই অসন্তোষ চরম আকারে রয়েছে। স্বৈরাচার শাসকের ভয়তে কেউ এতদিন মুখ না খুললেও এখন শুরু করছে মুখ খুলতে। কোন ক্যাডার যাতে ভবিষ্যতে মন্ত্রণালয়ের কোন পদে যেতে না পারে, সেজন্য সব ব্যবস্থা করে নিয়েছে কোন একটি ক্যাডার। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে সব ক্যাডার। ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের জন্য ১৫/০৮/২০২৪ ইং রোজ বৃহস্পতিবার ঢাকা, খাদ্য ভবনের সামনে মানব বন্ধন করে “বিসিএস ফুড অ্যাসোসিয়েশন”। তারা সেখানে বিভিন্ন ব্যাচের কর্মকর্তাগন উপস্থিত হয়ে তাদের দাবি তুলে ধরেন।
১. ক্যাডার যার মন্ত্রনালয় তার।
২। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য বিলোপ করতে হবে।
৩। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিপাত যাক।
৪. অবিলম্বে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে বিসিএস (খাদ্য) ক্যাডারের কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে।
৫. বিসিএস প্রশাসনের ন্যায় ব্যাচ ভিত্তিক পদোন্নতি দিতে হবে।
৬. আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পদটি ৪র্থ গ্রেডে এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পদ ৫ম গ্রেডে উন্নিত করতে হবে।
৭. খাদ্য ক্যাডারের বিভিন্ন স্তরের নতুন পদ সৃজনের প্রস্তাব অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৮. উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পদটি ক্যাডারভূক্ত করতে হবে।
Leave a Reply