আজ ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং

হোসেনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০ টায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তাজিয়া মিছিল শুরু হয়। মিছিলকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা কঠোর নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। মিছিলটি আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সাইন্সল্যাব, জিগাতলা ঘুরে ধানমন্ডি ২ নম্বরে গিয়ে শেষ হবে।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার দিনটি মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ এবং শোকের প্রতীক হিসেবে দিনটি বিশেষ পবিত্র দিবস।
এদিকে সকাল সাড়ে আটটায় মোহাম্মদপুরের ইমামবাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল বের হয়।

ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষ জানায়, মিছিলটি মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট হয়ে এলেনবাড়ি গিয়ে শেষ হয়। কোনো বিশৃঙ্খলা নেই। তারা এই দিনের তাৎপর্য হিসেবে বলেন, মুসলিম ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতিতে মহরম, আশুরা ও কারবালা অতি ব্যাপক অর্থবোধক তিনটি পরিভাষা। ইসলামী মূল্যবোধে এ তিনটির প্রভাবও বেশ সুদূরপ্রসারী।

এছাড়াও মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, ফরাশগঞ্জ, পল্টন, মগবাজার থেকেও তাজিয়া মিছিল বের হবে।

হাদিস শরীফে একক দিন হিসেবে আশুরার যে তাৎপর্য বর্ণিত হয়েছে তার সারসংক্ষেপ হলো- এ পবিত্র দিনে আল্লাহ্‌ তায়ালা অসংখ্য নবী-রাসুল দুনিয়ার মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন সময় আবির্ভূত করেছেন। আশুরার দিনে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তায়ালা আসমান-জমিন, পাহাড়-পর্বত, তারকারাজি, আরশ-কুরসি, লওহে মাহফুজ ও ফেরেশতাদের সৃষ্টি করেন। এদিন আদম, হাওয়াকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে।

উম্মতে মুহাম্মদীর কাছে এদিনটি আরো একটি বিশেষ কারণে অবিস্মরণীয়। ৬১ হিজরির এদিনে নুরনবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র, হযরত আলী-ফাতিমা (রা.) এর দ্বিতীয় পুত্র ইমাম হুসাইন (রা.) এবং নবী পরিবারের প্রায় সকল পুরুষ ও সদস্য কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে মর্মান্তিকভাবে শাহাদাতবরণ করেন। এ হৃদয় বিদারক ঘটনা আশুরাকে দান করেছে এক নতুন তাৎপর্য। বস্তুত কারবালার ঘটনাটি ছিল হক ও বাতিলের সংঘাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ